গরম পড়লেই শরীরে পানির চাহিদা বাড়ে। উচ্চ রক্তচাপ কমানোসহ তৃষ্ণা মেটাতে নারকেল দুধ দারুণ কার্যকর উপায় হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারকেল দুধে দারুণ উপকার। রান্নায় এ দুধের ব্যবহার তো অনেকের জানা। এ দুধ খেলে শরীর ঠান্ডা হয় এবং আর্দ্র থাকে। অন্য দুধের চেয়ে এটি পেটের জন্য ভালো ও প্রাকৃতিক মিষ্টিযুক্ত।

যাঁরা ল্যাকটোজ সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের জন্য দারুণ বিকল্প এটি। এটি মস্তিষ্কের জন্যও দারুণ উপকারী। এতে ব্যথানাশক উপাদানও আছে। এতে লরিক অ্যাসিড আছে, যা শিশুখাদ্যে ব্যবহৃত হয়। তাই যাঁরা গরমে আম বা স্ট্রবেরির শরবত তৈরি করবেন, তাঁরা নারকেল দুধ ব্যবহার করতে পারবেন। এর বাইরে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এ দুধ উপকারী। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে নারকেল দুধের আরও কিছু গুণের কথা উঠে এসেছে। জেনে নিন এসব গুণ সম্পর্কে:

গরমের আরাম: গরমে হিট স্ট্রোক, হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা, ক্লান্তি, পেশি ব্যথার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। নারকেল দুধ শরীরের জন্য ইলেকট্রোলাইট হিসেবে কাজ করে। ইলেকট্রোলাইটের সুষম ভারসাম্য শরীরের কোষ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক রাখে।

সহজে হজম: নারকেল দুধ খুব সহজে হজম হয়। তাই যাঁরা ল্যাকটোজ বা অন্য দুধ খেতে পারেন না, তাঁদের জন্য এটি দারুণ বিকল্প।

রক্তচাপ কমায়: নারকেল দুধ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কারণ, এতে আছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ কমাতে দারুণ কার্যকর উপাদান।

রক্তাল্পতা দূর করে: নারকেল দুধে আছে প্রচুর আয়রন, যা রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

ওজন কমায়: নারকেল দুধে আছে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার, যা পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমাতে পারে। নারকেল দুধ খেলে তাই ওজন কমে।

দাঁতের জন্য উপকারী: নারকেল দুধে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। তাই এটি দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী।

শরীর আর্দ্র রাখে: গরমে শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে নারকেল দুধ। এক গ্লাস নারকেল দুধ খেলে সারা দিনের ক্লান্তিভাব দূর হতে পারে।

ত্বকের জন্য ভালো: ত্বক ও চুলের জন্য দারুণ উপকারী নারকেল দুধ। এতে থাকা নানা রকম ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ ত্বক সুস্থ রাখে এবং চুল শক্ত করে।

কীভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে নারকেল কুরিয়ে নিতে হবে। এরপর তা ব্লেন্ড করতে হবে। কিছুটা গরম পানি এতে যুক্ত করে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এতে নারকেল কিছুটা নরম হবে। ওই মিশ্রণকে এরপর আরও ব্লেন্ড করে দুধের মতো করে নিতে হবে। এরপর তা ছেঁকে তরল অংশটুকু আলাদা করে নিতে হবে। দানাদার অংশ নারকেলের ময়দা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। নারকেল দুধ ঠান্ডা হলে তা খাওয়া যাবে। এ ছাড়া সংরক্ষণ করতে চাইলে বায়ুরোধী কোনো পাত্রে রাখতে হবে। রেফ্রিজারেটরে চার দিন পর্যন্ত এ দুধ ভালো থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here